কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলে ‘কার্যকরী পরিষদ সদস্য’ পদে মনোনয়ন জমা দিলেও পরবর্তীতে নির্বাচন থেকে সরে আসেন পরীমনি। এমনকি ভোটের দিন নিজের ভোটটাও দিতে এফডিসিতে যাননি ঢাকাই সিনেমার এই আলোচিত নায়িকা।
পরীমনি জানান, সন্তানসম্ভবা হওয়ায় কোনো ঝুঁকি নিতে চান না তিনি ও স্বামী শরিফুল রাজ। নির্বাচন থেকে সরে এলেও ব্যালট পেপারে নাম থেকে যায় পরীর। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেননি এ নায়িকা, ভোট দিতেও আসেননি এফডিসিতে। তবুও ৭৯ ভোট জমা পড়ে তার ব্যালটে। পরাজিতদের দলে রয়েছেন আলোচিত এ চিত্রনায়িকা।
যদিও পরীমনির ভাষ্য, তিনি তো নির্বাচনই করেননি। তাই ভোটে জেতা আর হারার কথা উঠছে কেন!
তবে ভোটগ্রহণের দিন এফডিসিতে না আসার অন্যতম কারণ হিসেবে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে স্বাস্থ্যবিধি না মানাকে দুষলেন ‘বিশ্বসুন্দরী’ খ্যাত নায়িকা।
বললেন, ‘সকালে উঠে টেলিভিশনের খবর ও ফেসবুকে নির্বাচনি ভিডিও ফুটেজ দেখে আমি চমকে গেছি। আমি রীতিমতো ভয় পেয়েছি। ছবিতে দেখলাম এই করোনার মধ্যে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। কারও মুখে মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্ব নেই। সবাই গাদাগাদি করে আড্ডা মারছেন। গায়ে লেগে লেগে ভোট দিতে কেন্দ্রে ঢুকছেন।’
এরপর তীর্যক মন্তব্য করেন পরীমনি। বলেন, ‘মনে হচ্ছে মেকআপ করা চেহারা দেখানোর জন্য মাস্ক রাখেননি অনেকে। মেকআপ দেখালে পর্দায় গিয়ে দেখান। ভোটের মাঠে তো দেখানোর দরকার নাই। আগে জীবন নাকি আগে চেহারা দেখানো নাকি আগে ভোট? আমার জীবন, আমার অনাগত সন্তানের জীবন আমার কাছে অমূল্য সম্পদ। সুতরাং এমন পরিবেশে ভোট দিতে সেখানে গিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে চাইনি।’
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে ১১টি কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদের বিপরীতে মোট প্রার্থী ছিলেন ২৪ জন। ভোটপ্রাপ্তির দিক দিয়ে পরীমনির অবস্থান ২২তম। তার সমান ৭৯টি ভোট পেয়েছেন অভিনেতা শাকিল খান।
পরীমনি ও শাকিল খানের চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন শুধু রবিউল ইসলাম হরবোলা। তিনি পেয়েছেন ৪৭টি ভোট।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।